Monday, March 20, 2017


ভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করা আদিত্য আজ ৭ম বারের মত ভাইভা দিয়ে বের হল। গত ৩ বছরে এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছিলনা, যেখানে সে আবেদন করেনি! মোবাইলটা অন করতেই তার ম্যাসেজ টোন বেজে উঠল। ইনবক্সে ঢুকতেই দেখে অর্পিতার ম্যাসেজ- "বাবু ভাইভা কেমন হলো? আজ বিকেলে আরেকটা ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে। ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। আর কত নানা অজুহাতে বিয়ে আটকাবো? প্লিজ বাবুটা আমার, তুমি কিছু একটা করো। " স্বপ্ন ছিল ম্যাজিস্ট্রেট হবে। কিন্তু আদিত্য তার স্বপ্নকে এখন এতটাই ছোট করে নিয়েছে, যেকোনো একটা চাকরি হলেই হলো। অর্পিতা যতটা ছেলেপক্ষকে নানা অজুহাতে রিজেক্ট করেছে, ঠিক তার দ্বিগুন সিভি আদিত্যের রিজেক্ট করেছে বিভিন্ন কোম্পানি। তাই সে এখন বুঝতে পারছে না সে আসলে 'কিছু একটা ' কী করবে! : বিকেলে পার্কে অপেক্ষা করছে আদিত্য। গাছের দিকে তাকিয়ে দেখছে একজোড়া পাখি কত মধুরভাবে মিশে আছে একে অপরের সাথে। সেও ভাবছে- ইশ! যদি অন্তত পাখি হতাম তবে এই ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হত না। অর্পিতাকে হারাতে হত না। পৃথিবীর প্রায় সকল রাজধানী থেকে মুদ্রার নাম, কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী কে, প্রেসিডেন্ট কে সবই তার জানা আছে। শুধু জানা নেই তার চাকরিটা কবে হবে। এরই মধ্যে অর্পিতা এসে তার পাশে বসে জিজ্ঞেস করে- কখন এলে? - এইতো একটু আগে। নীল জামা পরেছ কিন্তু নীল টিপ কোথায়? চোখ লাল কেন? - (কান্না জড়িত কন্ঠে) বাবু এভাবে আমি বাঁচতে পারব না। বাবা ঐ ছেলের সাথেই আমার বিয়েটা দিয়ে দিবে। প্লিজ তুমি কিছু করছো না কেন? অর্পিতার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে শুধু দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আদিত্য। সে কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছে না কান্নায় গলাটা ভারি হয়ে আসছে তার। ছেলেরা লুকিয়ে কাঁদে, প্রকাশ্যে তারা কাঁদতে পারেনা। শুধু বুকের ভেতরটাতে মনে হয় বিশাল এক পাথর বসিয়ে দিয়েছে কেউ। : ৫ বছরের সম্পর্ক তাদের। শীতের রাতে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চুপিচুপি মোবাইলে কথা বলা, কনকনে শীতের রাতেও গরমের অজুহাতে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে মোবাইলে কথা বলত দুজনে, যেন ফ্যানের শব্দের কারণে কেউ তাদের কথা না শুনে। শুধু কি তাই! মোবাইল চার্জারে লাগিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে ফেসবুকে চ্যাটিং চলত দুজনের। এসব ভাবতে ভাবতে তার চোখ ক্রমাগত ঝাপসা হয়ে আসে, পাপঁড়িগুলো ভিজে যাচ্ছে। দুজন এবার রিক্সায় উঠল। অর্পিতা আজ খুব শক্ত করে আদিত্যের হাতটি ধরে রইল। চৌরাস্তার মোড় পেরোতেই অর্পিতা ভাঙা গলায় কান্না জড়িত কন্ঠে, জড়িয়ে ধরল আদিত্যকে বলছে - এই বাবু, কিভাবে থাকব তোমাকে ছেড়ে? এভাবে কি থাকা যায়? প্লিজ বাবুটা আমার তুমি যেকোনো একটা চাকরি অন্তত করে আমাকে নিয়ে যাও। প্লিজ, প্লিজ... আমি তোমার জায়গায় অন্য কাউকে মেনে নিতে পারব না। " আদিত্য শুধু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে অর্পিতাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। রিক্সা থামে অর্পিতার বাসার সামনে। বিদায় নেয় দুজনে। : আজ আবার একটা ভাইভা আছে আদিত্যের। সে রেডি হচ্ছে। হঠাৎ অর্পিতার ম্যাসেজ- "আমি তোমার বাসার নিচে। তাড়াতাড়ি এসো। " সে নিচে নেমেই দেখে অর্পিতা। আজ তাকে অন্যরকম দেখাচ্ছে। চোখগুলো লাল, চুলগুলো এলোমেলো। মুখটাও শুকনা। আদিত্য জিজ্ঞেস করল - কী হয়েছে? - বাবা স্ট্রোক করেছে। সব আত্মীয় স্বজন শুধু আমাকেই দোষারোপ করছে। আমার জন্যই, আমার চিন্তায় বাবার এই অবস্থা। বাবু, তুমি আমাকে মাফ করে দাও বলেই সে আদিত্যের হাতে বিয়ের কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলে- এই নাও তোমার অর্পিতার মৃত্যুর পাসপোর্ট। : এক হাতে ভাইভা পরীক্ষার এডমিট কার্ড, অন্য হাতে ভালোবাসার অর্পিতার বিয়ের কার্ড। পৃথিবীতে এর চেয়ে করুন দৃশ্য কে কবে দেখেছে! সময়মত এপয়েন্টমেন্ট লেটার যোগার করতে না পারায়, আজ তারই হাতে তার প্রেয়সীর বিয়ের ইনভাইটেশন কার্ড। শুধু দুজোড়া চোখের অশ্রু ঝড়ছে। চোখ মুছতে মুছতেই মুহুর্তেই চলে গেল অর্পিতা। আদিত্য ঝাপসা চোখে শুধু অর্পিতার চলে যাওয়া দেখছে। : আজ অর্পিতার ১ম বিবাহ বার্ষিকী ও পরেরদিন তার জন্মদিন। আদিত্যের মোবাইলে ম্যাসেজ টোন বেজে উঠল। ইনবক্স খুলতেই দেখে অর্পিতার ম্যাসেজ- "বাবু, আমাদের সম্পর্কের পর আমার একটা জন্মদিন ও তোমাকে ছাড়া কাটাই নি। প্লিজ তুমি কাল অন্তত একবার আমার সাথে দেখা কর। আমার জন্মদিনে তুমি আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিও, সেটাই আমার সেরা গিফট হবে"। পরদিন বিকেল ৫টায় দুজনের দেখা হয়। দুজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। অর্পিতা আদিত্যকে বলছে- বাবু আমার গিফট কোথায়? আদিত্য একটা কাগজ দেয় অর্পিতার হাতে। কাগজ খুলেই দেখে এপয়েন্টমেন্ট লেটার। মানিব্যাগ থেকে বের করে একটা ছোট ভিজিটং কার্ড দিয়ে বলে এটাই তোমাকে দেয়া আমার উপহার। অর্পিতা ভিজিটং কার্ড হাতে নিয়ে দেখে সেখানে লেখা- আদিত্য রায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। অর্পিতার চোখে পানি, একই পানি আদিত্যের চোখেও। কেবল বিধাতায় জানে এই দুজোড়া চোখের পানির অর্থ কী!

Monday, March 13, 2017



26march1971operation searchligtht in dhaka.

After the awami league had
won a decisive majority (capturing 167 out of 313 seats) in the 
1970 Pakistan parliamentary elections, the Bengali
population
 expected a swift transfer of power to the Awami League based on the Six Point Programme. On February 28,
1971, 
Yahya Khan, the President of Pakistan, under the pressure of
PPP of 
Zulfikar Ali Bhutto, postponed the national
assembly meeting

Sunday, February 26, 2017


Full name: Shahriar Chowdhury Emon Birth date: September 19, 1971 Birthplace: Zakiganj, Sylhet, Bangladesh Occupation: Actor, Model Years active: 1986–1996 Spouse: Samira Huq Religion: Islam Zodiac sign: Scorpio Salman shah emerged in the Bangladesh film industry as a successful superhero. The film company had got the energy to stand around. He was able to re-enter the audience in the Hal. The producer re-started their investment in the film industry. In the early 1990s when the country’s film industry remained motionless, Salman added a new dimension in the Dhallywood film industry. He only acted in 27 films in his lifetime and got huge popularity around the country with such a short number of films. Salman shah became heartthrob actor to the young generation within very short time. Salman Shah Early Life Salman Shah was born on September 19, 1971, in Zakiganj, Sylhet, Bangladesh to Kamaruddin Chowdhury and Nila Chowdhury. He was the eldest son of the family and the original name was Shahriar Chowdhury Emon, although he is called as Salman shah in the showbiz industry. Salman shah completed primary education from Bayra Model High school, Khulna. Then he came to Dhaka, admitted Arab Mission School at Dhanmondi and completed SSC from this school in 1987. Salman Shah completed HSC from Adamji Cantonment College and received graduation degree from Maleka Science College, Dhanmondi. Salman Shah Career: Salman shah started a journey in the showbiz arena with television serial and acted in the several TV commercials. Salman’s first appearance in a major role was in ‘Keyamat Thekey Keyamat’ released in March 1993 with co-actress Moushumi directed by Sohanur Rahman Sohan. This was a blockbuster film. The ailing film industry witnessed a genuine romantic hero and welcomed a new era in the romantic film world type with his appearance. Rapidly he turned into a heartthrob actor of the young moviegoers. The late actor Salman Shah had been and still is a shining star in the Bangladeshi film industry. In his short extent of the film career, he acted in 18 hit films. He started his film career with the film Keyamat Thekey Keyamat. Movie theaters that ran his films filled with young people. Salman Shah also acted in several TV plays including Akash Chhoya, Doyel, and Nayon. He also acted in two TV serials titled Etikatha and Pathor Somoy. Salman’s career only sustain for there years five months twelve days due to his death at 25 years old. Salman Shah Death: But the superstar was soon gone under a dark cloud on September 6, 1996. The people of Bangladesh were deeply shaken by Salman’s early death. Film enthusiasts could not accept his premature passing. Failing to cope with the loss of their favorite actor, some passionate fans even took their own lives. Salman’s murder hanging with ceiling fan aroused suspect in the fans’ mind that it is planning to kill, but the case ends up with no legal solution. Salman Shah was buried beside the grave of famous saint Hazrat Shah Jalal in Sylhet. Salman Shah Personal Life: Salman Shah got married to Samira Huq on Agust 12, 1992. They couple have no any children and lived together until Salman’s death. To more click here

Tuesday, February 21, 2017

যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন সেই শহীদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙ্গালি পেয়েছে কথা বলার অধিকারওমাতৃভাষার মর্যাদা। ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী ছাত্র জাতীয় ভাষা হিসেবে উর্দু ঘোষণা করার প্রতিবাদে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক ছিল বাঙালী ,মোট নাগরিকের (১৯৫২ এর হিসাবে) প্রায় ৫৪%। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন ছাত্র নিজেদের জন্য এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য জীবন দান করেন।

সকাল নয়টায়, ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জড়ো হতে শুরু করে। সশস্ত্র পুলিশ বেষ্টিত ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সোয়া এগারোটার দিকে, ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় গেট জড়ো হয়ে প্রতিবন্ধকতা ভাঙার চেষ্টা করে। ছাত্রদের একটি দল ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিকে দৌড় দেয় এবং বাকিরা পুলিশ পরিবেষ্টিত ক্যাম্পাসে মিছিল করে। উপাচার্য পুলিশকে গুলি চালানো বন্ধ এবং ছাত্রদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ দেন। যাইহোক, ছাত্ররা চলে যাবার সময়, পুলিশ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের জন্য কিছু ছাত্রকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পূর্ব বাংলা গণপরিষদ অবরোধ করে এবং গণপরিষদে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপনের দাবি জানায়। ছাত্রদের একটি দল বিল্ডিং মধ্যে দ্রুত ঢোকার চেষ্টাকালে পুলিশ গুলি চালায় এবং তাতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার সহ অনেক ছাত্র নিহত হয়। হত্যাকাণ্ডের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে, সারা শহর জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

দোকানপাট, অফিস ও গনপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ধর্মঘট শুরু হয়। আইনসভায়, মনোরঞ্জন ধর, বসন্তকুমার দাস, শামসুদ্দিন আহমেদ এবং ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সহ ছয় বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনকে আহত ছাত্রদের দেখতে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার দাবি জানান এবং শোকের চিহ্ন হিসেবে গণপরিষদ মুলতবির দাবি করেন।মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, শরফুদ্দীন আহমেদ, শামসুদ্দীন আহমেদ খন্দকার এবং মশিউদ্দিন আহমেদ সহ সরকারি দলের কিছু সদস্য সমর্থন দেন।তবে নুরুল আমিন এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
সংবিধান সংশোধন:
 ৭ মে ১৯৫৪ সালে, গণপরিষদে মুসলিম লীগের সমর্থনে বাংলা আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ সালে বাংলা পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১৪ (১) পুর্নলিখিত হয় এভাবে "পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু এবং বাংলা"। তবে, আইয়ুব খানের নেতৃত্বে গঠিত সামরিক সরকার একমাত্র জাতীয় ভাষা হিসেবে উর্দু পুনরায় স্থাপন করার চেষ্টা চালায়। ৬ জানুয়ারি ১৯৫৯ সালে, সামরিক সরকার একটি সরকারী বিবৃতি জারি করে এবং ১৯৫৬ সালের সংবিধানের নীতি " দুই রাষ্ট্র ভাষা" সমর্থন সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বহাল করে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি:
১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে এক রফিক পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়ে একুশে ফেব্রুয়া্রিকে অমর করেছিলেন। তার ৪৬ বছর পরে আরেকজন রফিক সুদূর কানাডায় বসে আরেক দুঃসাহসী কাজ করে ফেললেন । ১) ১৯৯৮ সালের ৯ই জানুয়ারী রফিক জাতিসংঘের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারী কফি আনানকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে রফিক ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদদের অবদানের কথা উল্লেখ করে কফি আনানকে প্রস্তাব করেন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘মাতৃভাষা দিবস’হিসেবে যেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২) সে সময় সেক্রেটারী জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের (যিনি একজন সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত) নজরে এ চিঠিটি আসে। তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ শে জানুয়ারী রফিককে অনুরোধ করেন তিনি যেন জাতিসংঘের অন্য কোন সদস্য রাষ্ট্রের কারো কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করেন। ৩) সেই উপদেশ মোতাবেক রফিক তার সহযোদ্ধা আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে “এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ওর্য়াল্ড” নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান। এতে একজন ইংরেজীভাষী, একজন জার্মানভাষী, একজন ক্যান্টোনিজভাষী, একজন কাচ্চিভাষী সদস্য ছিলেন। তারা আবারো কফি আনানকে “এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ওর্য়াল্ড”-এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি লেখেন, এবং চিঠির একটি কপি ইউএনওর ক্যানাডিয়ান এম্বাসেডর ডেভিড ফাওলারের কাছেও প্রেরণ করেন। ৪) এর মধ্যে একটি বছর পার হয়ে গেলো। ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাসান ফেরদৌস সাহেব রফিক এবং সালামকে উপদেশ দেন ইউনেস্কোর ভাষা বিভাগের জোশেফ পডের সাথে দেখা করতে। তারা জোশেফের সাথে দেখা করার পর জোশেফ তাদের উপদেশ দেন ইউনেস্কোর আনা মারিয়ার সাথে দেখা করতে। এই আনা মারিয়া নামের এই ভদ্রমহিলাকে আমরা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবো, কারণ এই ভদ্রমহিলাই রফিক-সালামের কাজকে অনেক সহজ করে দেন। আনা মারিয়া রফিক-সালামের কথা মন দিয়ে শোনেন এবং তারপর পরামর্শ দেন তাদের প্রস্তাব ৫ টি সদস্য দেশ – ক্যানাডা, ভারত, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড এবং বাংলাদেশ দ্বারা আনীত হতে হবে। ৫) সে সময় বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এম এ সাদেক এবং শিক্ষা সচিব কাজী রকিবুদ্দিন, অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আহমেদ, মশিউর রহমান (প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েটের তৎকালীন ডিরেক্টর), সৈয়দ মোজাম্মেল আলি (ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), ইকতিয়ার চৌধুরী (কাউন্সিলর), তোজাম্মেল হক (ইউনেস্কোর সেক্রেটারি জেনেরালের শীর্ষ উপদেষ্টা) সহ অন্য অনেকেই জড়িত হয়ে পড়েন।তারা দিন রাত ধরে পরিশ্রম করেন আরো ২৯ টি দেশকে প্রস্তাবটির স্বপক্ষে সমর্থন আদায়ে। অন্যান্য বাংলাদেশী এবং প্রবাসীদের কাছে ব্যাপারটা অগোচরেই ছিল- পর্দার অন্তরালে কি দুঃসাহসিক নাটক চলছিলো সে সময়। এই উচ্চাভিলাসী প্রজেক্টের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা এবং ক্যানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের জনা কয়েক লোক কেবল ব্যাপারটা জানেন, এবং বুকে আশা নিয়ে তারা সেসময় স্বপ্নের জাল বুনে চলেছেন প্রতিদিন। ৬) ১৯৯৯ সালের ৯ ই সেপ্টেম্বর। ইউনেস্কোর প্রস্তাব উত্থাপনের শেষ দিন। এখনো প্রস্তাব এসে পৌঁছায়নি। ওদিকে রফিক সালামেরা ব্যাপারটি নিয়ে বিনিদ্র রজনী অতিক্রম করে চলেছেন। টেলিফোনের সামনে বসে আছেন, কখনো চোখ রাখছেন ইমেইলে। আসলে প্রস্তাবটির পেছনে প্রধাণমন্ত্রীর একটি সই বাকি ছিলো। আর প্রধানমন্ত্রী তখন পার্লামেন্টে। পার্লামেন্টের সময়সূচীর পরে সই করতে করতে প্রস্তাব উত্থাপনের সময়সীমা পার হয়ে যাবে। সেটা আর সময় মত ইউনেস্কো পৌঁছুবে না। সব পরিশ্রম জলেই যাবে বোধ হয়। ৭) প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অনুরোধ করা হলো তিনি যেন প্রস্তাবটি সই করে ফ্যাক্স করে দেন ইউনেস্কোর দপ্তরে। অফিসের সময়সীমা শেষ হবার মাত্র একঘণ্টা আগে ফ্যাক্সবার্তা ইউনেস্কোর অফিসে এসে পৌঁছুলো। ৮) ১৬ই নভেম্বর কোন এক অজ্ঞাত কারণে (সময়াভাবে ?) বহুল প্রতাশিত প্রস্তাবটি ইউনেস্কোর সভায় উত্থাপন করা হলো না। রফিক সালামেরা আরো একটি হতাশ দিন পার করলেন। ৯) পর দিন – ১৭ই নভেম্বর, ১৯৯৯। এক ঐতিহাসিক দিন। প্রস্তাব উত্থাপন করা হলো সভার প্রথমেই। ১৮৮ টি দেশ এতে সাথে সাথেই সমর্থন জানালো। কোন দেশই এর বিরোধিতা করলোনা, এমনকি খোদ পাকিস্তানও নয়। সর্বসম্মতিক্রমে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গৃহীত হলো ইউনেস্কোর সভায়। এভাবেই একুশে ফেব্রুয়ারি একটি আন্তর্জাতিক দিনে পরিণত হলো। কিন্তু এতো কিছুর পরেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল উদ্যোক্তা রফিক এবং সালাম সবার কাছে অচেনাই রয়ে গেলেন। তাদের ত্যাগ তিতিক্ষা আর পরিশ্রম অজ্ঞাতই থেকে গেল। কেউ জানলো না কি নিঃসীম উৎকন্ঠা আর আশায় পার করেছিলেন তারা ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসের শেষ ক’টি বিনিদ্র রজনী। কেউ জানলো না, কিভাবে সমর্থন যুগে চলেছিলেন তাদের স্ত্রী, পরিবার, এবং কাছের বন্ধু বান্ধবেরা। কত অজ্ঞাতকূলশীলেরাই বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক পেয়ে যান এই অভাগার দেশে আর রফিক সালামেরা উপেক্ষিতই থেকে যান। to know more click here

Sunday, February 12, 2017


Monday, January 30, 2017


রুম নং-৩৩০

.

ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর থেকে লোকমুখে প্রচলিত একটা কথা শুনে আসছিলাম-আমাদের ভার্সিটির এসএম হলের একটি রুম নাকি তালাবদ্ধ!
এই রুমটিতে নাকি ভৌতিক ব্যাপারগুলো ঘটতো কোন একসময়।তাই হলকতৃপক্ষ চাইলেও রুমটিতে কোন শিক্ষার্থী ভয়ে উঠতো না।আমি তখন ফাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট।প্রথম বছরে হল পাওয়া আমার জন্য অনেক কষ্টের ছিল।কিন্তু আমি আটলাম অন্য ধান্দা।হলে এলোট দিল।এপ্লিকেশন জমা দিলাম এবং সৌভাগ্যক্রমে ভাইবার ডাক পরল।ভাইবায় সাহস করে বলে বসলাম-আমি ঐ আটকা রুমে একটা সিট চাই!
প্রভোস্ট স্যারের চোখ তখন কপালে,আমতা আমতা করে বললেন-এই ছেলে,তুমি কি জানো রুমটিতে কি হয়?
আমি শান্তভাবে জবাব দিলাম-জানি স্যার!
স্যার বললেন,সব জেনেও তোমার ভয় করবেনা?
আমি তখন খানিকটা তাচ্ছিল্য করে বললাম-স্যার আপনিও কি অন্য সবার মত ভূতে বিশ্বাসী?
স্যারের মনে হয় এবার ইগোতে টাচ করে ফেলেছি,স্যার কিছুটা বিব্রত হয়ে বলতে লাগলেন-ঠিক তা না,আমিও ওসবে কম বিশ্বাসী।তবে রুমটি ভয়ংকর জেনেও আমি তো আর আমার স্টুডেন্ট কে ওখানে যেতে দিতে পারি না,তায় আর কি!
স্যার যে ভেতরে ভেতরে অনেক ভয় নিয়ে কথাগুলো স্রেফ নিজের আত্বসন্মানের ক্ষাতিরে বললেন,তা বুঝতে বাকি রইলো না।
আমি এবার একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,আমি পারবো স্যার!আমাকে আপনি ঐ রুমটিতেই সিট দিন।
.
অবশেষে ৩৩০নং রুমে সিট হয়ে গেল আমার।রুমের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলাম।অন্ধকারে ঘড়ের পুরোটা দেখতে পাচ্ছিলাম না,এগিয়ে গেলাম আরেকটু।জানালাটা খুলে দিলাম,এবার ভীতরটা কিছুটা দেখা যাচ্ছে।কয়েকটা তেলাপোকা উড়ে গেল,একটা টিকটিকি দেয়াল বেয়ে উপড়ে উঠে গেল।রুমটা একেবারে নোংড়া,রাজ্যর আবর্জনা যেন রুমের ভেতর।লেগে পড়লাম রুম পরিষ্কারের কাজে।রাত ৮টায় রুম পরিষ্কার করা শেষ হলো।এবার তারাতারি করে গোসল করে ডাইনিং এ খেতে গেলাম।ডিনার শেষে রুমে ফিরে কিছুক্ষণ ফেবু ইউজ করলাম-তারপর ঠিক কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বলতে পারবো না।ঘুম ভাঙ্গল সকাল ৮টায় আলমগীরের ফোনে।
তারাতারি রেডি হয়ে ক্লাসে গেলাম।
.
ঠিক তার পরের দিন,দিনটা ছিল শনিবার।তারিখটা ঠিক মনে নেই।রাত তখন ৯টা বাজবে,আমি চেয়ারে বসে ক্লাসের এসাইন্টমেন্ট করছিলাম।জানালাট
া তখনও খোলা,হঠাৎ কলমের কালি ফুরিয়ে গেল।জানালা দিয়ে নষ্ট কলমটি ফেলতে যাবো,ঠিক তখনি লক্ষ্য করলাম একটা ছায়ার মত কিছু জানালার কাছ থেকে দ্রুত সড়ে গেল।আমি আরেকটু এগিয়ে গিয়ে জানালা দিয়ে উকি দিলাম,কিন্তু আর কিছুই দেখতে পেলাম না।
রাত তখন ১২টা।আমার এসাইন্টমেন্ট লেখা কমপ্লিট।এবার চেয়ার থেকে উঠে বিছানায় একটু হেলান দিয়েছি,অমনি কি একটা তীব্র গন্ধ নাকে আসল।এই গন্ধটার ব্যাখা আসলে দেওয়া কঠিন,কেননা কোন পারফিউম এর গন্ধের সঙ্গে এটির মিল ছিল না।সম্পূন আলাদা একটা গন্ধ,যেটি ভেতরকে আন্দোলিত করছিল।
আমি অনেক ভেবেও গন্ধের উৎস খুজে পাচ্ছিলাম না।অবশেষে রুমের জানলাটা বন্ধ করলাম।লাইট নিভিয়ে বিছানায় শুয়েছি মিনিট দশেক হবে,এর ভেতর রুমের ভেতর একটা খস খস আওয়াজ শুনতে পেলাম।মনে হচ্ছিল রুমের ভেতর কেউ আছে।প্রচন্ড ভয় পেলাম,তবুও ভেতরে ভেতরে সাহস সঞ্চার করে লাইট জ্বালিয়ে পুরো রুম চেক করলাম।কোথাও কিছু নেই।
এবার লাইট আর নেভালাম না।লাইট জ্বালিয়ে শুয়ে পরলাম।কিছুতেই ঘুম পাচ্ছে না।এপাশ ওপাশ করছি হঠাৎ করেই খট খট শব্দ পেলাম,মনে হচ্ছে দরজার বাহিরে কেউ দাড়িয়ে শব্দ করছে।সাহস করে দরজাটা খুলে দেখি একটা ভয়ঙ্কর শরীরের কেউ ভেসে আছে দরজার পাশে।চোখ দুটো ভয়ঙ্কর রকমের লাল।গলায় ফাস লাগানো দড়ি।আমার শরীর ঘামতে শুরু করল।সাহস করে বললাম-কে ওখানে?
একটি প্রকম্পিত শব্দ আসল-এটা আমার রুম!
আমি বললাম-আপনার এ অবস্থা কেন?
চোখ দুটো আরও জ্বলে উঠল,কর্কশ কন্ঠে বলতে লাগল-এসএসসি,এইসএসএসি তে জিপিএ-৫ পেয়ে রাবিতে ভর্তি হই স্বপ্ন পূরনের উদ্দেশ্য।সবকিছু ঠিক ছিল,কিন্তু একদিন এক বড়ভাইয়ের প্রস্তাবে রাজনিতীতে নাম লেখাই।মিছিল,মিট
িং,সমাবেশ নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি ধীরে ধীরে।একসময় নেশায় আসক্ত হয়ে যায় নিজের অজান্তেই।দেখতে দেখতে পরিক্ষা চলে আসে।কিন্তু ততদিনে সিলেবাসটাই আমার খুলে দেখা হয় নি।ফেইল করে পুনরায় ফাস্ট ইয়ারে থাকতে হয়।আমি ততদিনে পাকাপোক্ত রাজনিতী শুরু করেছি,আমার হাতে তখন অনেক ক্ষমতা।নেশা,জুয়া,মেয়ে কোনটাই বাদ রাখিনি সেসময়।আবার পরিক্ষা আসে,পুনরায় ফেইল করি।তৃতীয়বার ভার্সিটি থেকে আমাকে আর পরিক্ষা দিতে দেয় না,উপস্থিতি ০% থাকায়।আমার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।আমার সংগঠনের কোন নেতাই সেদিন আমাকে সাহায্য না করে তাড়িয়ে দেয়।স্যারদের পা ধরে কান্না করেছি,কেউ আমার কথা শুনেনি।দিনকয়েক পরে বাবা হঠাৎ করেই রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়।আমি তখন এতিম অসহায়।রোজ রাতে কান্না করতাম।একদিন নোটিশ আসে রুম ছাড়ার-সেরাতেই রুমের জায়গা পাকাপোক্ত করতে রশি বেধে আত্নহত্যা করি।এখন এ রুম আমার,শুধুই আমার।বলেই হো হো করে হেসে দিয়ে বাতাসের সঙ্গে মিলিয়ে যায়।যাওয়ার আগে আমার হাতে একটা চিরকুট ধরিয়ে দেয়।যাতে লেখা ছিল-"ছাত্রজীবনে পড়াশুনাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত"
.
[বিদ্র:সম্পূন কাল্পনিক]
COLLECTED

Wednesday, January 11, 2017

Image may contain: 1 person
তুমিই জয়ী হবে : মাইকেল জ্যাকসন
আট বছর বয়স থেকেই মঞ্চ মাতানো শুরু। জ্যাকসন ফাইভ ব্যান্ডদলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটি এ সময় পরিচিতি পান নিজের নামেই। শুধু গান নয়, নাচ, ফ্যাশন—সবকিছুতেই মাইকেল জ্যাকসন (১৯৫৮—২০০৯) ছিলেন অনবদ্য। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে দিয়েছে সর্বকালের সেরা এন্টারটেইনারের খেতাব। পেয়েছেন কিং অব পপ উপাধিও। পাশাপাশি কাজ করে গেছেন সারা বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য। ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড’ ফাউন্ডেশন গড়েছেন এ কাজের জন্য। ২০০১ সালের ৬ মার্চ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ‘হিল দ্য কিডস’ উদ্যোগটি পরিচিত করার জন্য এ বক্তব্য দেন তিনি।
এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমার কী কী যোগ্যতা আছে—সে কথা বলেই বোধহয় শুরু করা উচিত। বন্ধুরা, আমার আগে এখানে যাঁরা বলে গেছেন, তাঁদের মতো পড়াশোনা আমার নেই। ঠিক তেমনই আমার মতো ‘মুনওয়াক’ করার ক্ষমতাও তাঁদের নেই। তবে একটা দাবি আমি করতেই পারি, বেশির ভাগ মানুষের তুলনায় দুনিয়াটা আমার অনেক বেশি দেখা হয়েছে। শুধু কাগজ আর কালিতে তো ধরা যায় না মানুষের জ্ঞান। হূদয়ে যে কথা লেখা হয়ে থাকে, আত্মায় যা গেঁথে যায়, শরীরে যা খোদাই হয়ে যায়, সেসব মিলিয়েই তৈরি হয় মানুষের জ্ঞান। আর এই জীবনে আমি যত কিছুর মুখোমুখি হয়েছি, তাতে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় আমার বয়স মাত্র ৪২! অনেক সময় আমার মনে হয় বয়স বোধ হয় ৮০ ছাড়িয়ে গেছে।
আমার অর্জনগুলো দিয়ে কিন্তু আমার ভেতরের মানুষটাকে চেনা যাবে না। ভক্তদের সামনে রকিন, রবিন বা বেন গাইতে থাকা পাঁচ বছরের শিশুটি আর তার হাসির আড়ালে থাকা শিশুটি এক নয়। আমি পাঁচ বছর বয়স থেকেই গান গাইছি, নাচছি। কাজটা আমার জন্য খুব আনন্দেরও। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম গাছ-বাড়ি বানিয়ে, লুকোচুরি খেলে আমার শৈশবটা কাটাতে। আমার আশপাশের শিশুদের এমন জীবন দেখে হিংসা করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমার। আমার কোনো শৈশব নেই— এই বোধটাই আমাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছিল।
আমি এসব তোমাদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য বলছি না। আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বোঝানোর জন্যই বলছি। আজ শুধু হলিউডের শিশুরাই নয়, সারা বিশ্বেই শিশুরা ভুগছে এই বেদনায়, শৈশব না থাকার কষ্টে। এখন শিশুদের ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠার জন্য। যেন শৈশব খুব কষ্টের সময়। এটাকে তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যেতে হবে। আর এর ফলে শিশুরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে মা-বাবা ও পরিবারের কাছ থেকে।
এই বিচ্ছিন্নতা থেকেই যেন জন্ম নিয়েছে এক নতুন প্রজন্মের। আমি সেই প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি। আমাদের বাইরেটা ঝাঁ চকচকে—টাকা-পয়সা, দামি কাপড়চোপড়, বিলাসবহুল গাড়ি। কিন্তু ভেতরটা ফাঁকা। এটা শুধু আমাদেরই যন্ত্রণা নয়, আমাদের মা-বাবারও।
আজ আমি শিশুদের অধিকারের কথা বলতে চাই। প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি শিশুর এই অধিকার থাকবে:
১. ভালোবাসা পাওয়া। ২. সুরক্ষা পাওয়া। ৩. মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হওয়া। হয়তো সে কিছুই করতে পারেনি, তবুও সে মূল্যবান। ৪. শিশুর সব কথা মন দিয়ে শোনা—তা খুব উপভোগ্য না হলেও। ৫. ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত একটা গল্প শুনতে পাওয়া—সন্ধ্যার খবর বা টিভি সিরিয়ালের সময়টা যাতে এ জন্য বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। ৫. স্নেহ পাওয়া—হয়তো মা ছাড়া আর কারও কাছেই শিশুটি সুন্দর নয়, তবুও।
বন্ধুরা, আমাদের সব জ্ঞানের, বোধের শুরুটা হোক এভাবে—আমরা জানি আমাদের কেউ না কেউ ভালোবাসে।
প্রায় ১২ বছর আগের কথা। আমার ব্যাড ট্যুরের আগে ছোট্ট একটি ছেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে এল। সে আমাকে, আমার গান কত ভালোবাসে, সেসব বলল। ছেলেটি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিল। তার মা-বাবার কাছ থেকে জানলাম, যেকোনো দিন সে মারা যেতে পারে। আমি ছেলেটিকে বললাম, ‘তিন মাসের মধ্যে আমি তোমার শহরে গান গাইতে আসব। তোমাকে আমার এই জ্যাকেটটা দিলাম। এটা পরেই কিন্তু তুমি আমার গান শুনতে আসবে।’ তাকে আমার পাথর বসানো দস্তানাও দিয়েছিলাম। সাধারণত আমি কাউকে দস্তানা দিই না। পরে শিশুটির শহরে গিয়ে শুনি সে মারা গেছে। তার সমাধিতে দেওয়া হয়েছে আমার সেই জ্যাকেট আর দস্তানা। তার বয়স ছিল মাত্র ১০। কিন্তু একটাই সান্ত্বনা, সে জেনে গিয়েছিল তাকে কেউ ভালোবাসে। তার মা-বাবা শুধু নন, আমার মতো একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষও তাকে ভালোবাসে। সে জেনে গিয়েছিল, এই পৃথিবী থেকে সে একা বিদায় নিচ্ছে না।
পৃথিবীতে আসার আগে আর পৃথিবী ছাড়ার সময় তুমি যদি জানতে পার, কেউ তোমাকে ভালোবাসে, তাহলে যেকোনো পরিস্থিতিই খুব সহজ হয়ে দাঁড়ায়। শিক্ষকেরা তোমাকে তিরস্কার করতে পারেন, তোমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা চাপ দিতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুমিই জয়ী হবে। কীভাবে কেউ তোমাকে আটকাবে! তোমার তো ভালোবাসার শক্তি আছে।
কিন্তু যদি এই শক্তিটা তোমার না থাকে, গোটা জীবন চলে যাবে তার খোঁজে। যত বিখ্যাতই হও, যত ধনীই হও, ভেতরটা তোমার ফাঁকাই রয়ে যাবে।
কোথা থেকে আমাদের মধ্যে এত ক্রোধ, বেদনা আর সহিংসতা আসে! উত্তরটা আর খুঁজে বেড়াতে হবে না।
কাজ শেষে মা-বাবারা বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু অনেকেই মাথাটা রেখে আসেন অফিসে। আর তাঁদের শিশুরা পায় মা-বাবার ছিটেফোঁটা মনোযোগ। তাদের মধ্যে ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছাটাই মরে যায়। নিজের মতো করে বেড়ে ওঠে তারা। পেছনে ফেলে যায় মা-বাবাকে।
আমি তোমাদের অনুরোধ করব, এমন ভুল তোমরা কেউ কোরো না। যদি ভাবো, মা-বাবা তোমাদের অবহেলা করেছেন, তাঁদের ক্ষমা করে দাও। তাঁদের শেখাও, কীভাবে ভালোবাসতে হয়।
আমার বাবা ছিলেন বেশ দক্ষ একজন ব্যবস্থাপক। আমি ও আমার ভাইয়েরা সাফল্যের জন্য তাঁর কাছে ঋণী। তিনি কোনোদিন আমার সঙ্গে খেলেননি। আমার চোখে চোখ রেখে বলেননি আমাকে তিনি কত ভালোবাসেন। আমি মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসতাম। কিছুদিন পরপরই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম রান্নাঘরে আমার জন্য এক ব্যাগ ডোনাট রাখা আছে। আমার বাবা কোনোদিন আমাকে সেটা বলেননি। কত দিন ভেবেছি, রাতে জেগে থাকব আর তাঁকে ডোনাট রাখার সময় ধরে ফেলব। কিন্তু আমি এই মজার খেলাটা নষ্ট করতে পারিনি এই ভয়ে, তিনি হয়তো আর কোনোদিন আমার জন্য ডোনাট আনবেন না।
তিনি আমার জন্য কী করেননি, সেসব নিয়ে আমি আর ভাবি না। তিনি কতটা করেছেন, সেটাই ভাবি।
বাবা খুব দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছেন। আমাদের বড় পরিবার চালাতে হতো তাঁকে। ইস্পাত কারখানায় কাজ করতেন তিনি। এমন কাজ, যা আস্তে আস্তে অনুভূতিগুলো ভোঁতা করে দেয়। তিনি যে আমাদের সফল হওয়ার জন্য এত চাপ দিতেন, এটা কি খুব আশ্চর্যের? তাঁর শাসনটাকে আমি আজ ভালোবাসা হিসেবেই দেখি। সেই ভালোবাসা নিখুঁত নয়, কিন্তু ভালোবাসা তো! তিনি চাইতেন কেউ যেন তাঁর সন্তানদের ছোট করতে না পারে। আজ আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমার শুরুর দিকের রাগের অনুভূতিটা এখন ক্ষমায় পরিণত হয়েছে।
এক দশক আগে গড়ে তুলেছিলাম দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিল দ্য ওয়ার্ল্ড। আমি এর সাফল্যে বিশ্বাস করি? আমি কি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীটার ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারব? নিশ্চয়ই করি। না করলে আজ আমি এখানে আসতাম না। কিন্তু এর শুরুটা হতে হবে ক্ষমা দিয়ে। কারণ পৃথিবীর ক্ষত সারিয়ে তোলার আগে নিজের ক্ষত শুকাতে হবে। আজ আমি বুঝি, আমি কখনোই পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠতে পারব না, যদি না আমার শৈশবের ক্ষতগুলোর কথা ভুলে যাই। তাই তোমাদের বলছি, মা-বাবাকে সম্মান করো। তাঁদের কাজের বিচার করতে যেয়ো না। তাঁদের সুযোগ দাও।
ক্রোধ, হতাশা আর অবিশ্বস্ত এই পৃথিবীতেই আমাদের বাঁচতে হবে। বাঁচতে হবে ভালোবাসা, স্বপ্ন আর বিশ্বাস নিয়ে। যারা মনে করো তোমাদের মা-বাবা তোমাদের যথেষ্ট ভালোবাসেন না, তোমরা তাঁদের দিকে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দাও। শর্তহীন ভালোবাসা দাও তাঁদের, যাতে তাঁরা নিজের সন্তানের কাছ থেকেই শিখতে পারেন কীভাবে ভালোবাসতে হয়।
মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, দুর্বল কখনো ক্ষমা করতে পারে না। আজ তাই তোমরা শক্ত হও। শৈশবের ক্ষতের যা প্রভাব আজকের জীবনে পড়ছে, তা কাটিয়ে ওঠো।
আজ থেকে শোনা যাক এক নতুন সংগীত। সে সংগীত শিশুদের হাসির। চলো সবাই মিলে সারিয়ে তুলি এই পৃথিবীর যত ক্ষত, বেদনা। সবাই সুখী হও।
https://ggldrs.com/bDPl

Tuesday, January 10, 2017



The condition and quality of education in Bangladesh are very bad and ineffective. But no nation can progress without quality and effective education. Honesty speaking, the quality education and development of any country are involved inseparably. So the maintenance of quality education is the burning question of Bangladesh. Unfortunately, there is no initiative to maintain the quality of education in Bangladesh. A couple of Education commission was set up to bring positive change in education sector in Bangladesh. But recommendations of these commissions did not see the light of success. The quality of education is decreasing day by day.
The education in Bangladesh is mainly theoretical based and memory based. Here the students study for passing exam, not for gathering knowledge. One of the problems of our education is that there is no opportunity for flourishing creative power of the students. The student memories some selective questions answers and pass the exam. Well, but true education means gathering knowledge not passing exam. This method of education must be changed in urgent basis. Otherwise, our future generation will make up responsible for this. No effective method is followed in our education system. The same tradition system is going on years. As a result, no development has come to our society.
Forty three years have passed since we achieved our independence. But we could not bring ant=y positive chances in our education system. As a result, our expectation for development remained an illusion. We don’t give the students the time be fitted education. That’s why we can’t keep peace with the technology of modern world and lag far behind from the development countries. In Bangladesh we purchase luxury cars, we make beautiful palace which are visibly symbols of development. But these are like face powder development. The real development is in the development of education.
We are living in the modern world but still now in our education are following the outdated system. Still now the teachers enter the class with a stick, slop and flog the students severely at little matters. The quality of education is associated with the behavioral pattern of the teachers. The relationships’ between teachers and student must be democratic not autocratic. When the teachers enter the class rooms, they look very hot-tempered, the student became freeze with fear, and they dare not ask any question to their teachers. The environment of the classroom must be conducive to the student. The main responsibilities to keep the environment conducive go on the shoulders of the teachers.
Education system of Bangladesh is one way, that’s teachers are teaching in the class and there is no response from the students. But ineffective education system student’s role is active and teacher’s role is passive. In the class when a student can’t understand anything and asks more  questions to the teachers, then the teacher becomes angry with that student and sometimes scold saying you are a foolish, worthless, you need not study etc. In such dominating environment students get discouraged to study. And they can’t flourish their innate merits.
It is true that in every government education institution. There is always corruption and irregularities. Every the government sanctions a lot of money for the development of education, but the money absorbed illegally by the concerned minister and the authority  of the institution.In Bangladesh corruption is in every sector. Our sacred education sector is not free from corruption.
A lot of private education institution has been emerged around us like mushrooms. Though they are maintaining some quality but they are money centered.
Here have a look, the poor people and middle class people can’t afford to bear the expense of this private institution, and their children are deprived or quality education. The access to education is a basic right for every citizen. Education must be universal. But in the private universities there is no provision for the poor students to study in these universities. This inequality goes against the provisions of our constitution.
Moreover, the syllabuses followed in the education institutions in Bangladesh are not up to the standard and not designed for practical purpose.

আইইউটিতে যখন ফোর্থ ইয়ারে পড়ি (২০১০) তখনই সাহস করে বাসায় বলে ফেললাম, "আব্বা, বিয়ে করব"।আমাদের দেশে ছাত্রাবস্থায় বিয়ে করতে চাওয়াটাকে এক ধরণের অপরাধ হিসেবেই ধরা হয়। আমার বাসায়ও ভয় পেয়ে গেল। আমাকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে বললো, "কোনমতে জাস্ট পাসটা কর, তারপরই বিয়ে দিয়ে দিব; চাকুরিও পাবার দরকার নাই। এখন বিয়ে করলে মানুষ কি বলবে? মান-সম্মান থাকবে?"
আমিও বুঝলাম। পাস করে বের হবার পর বেকার ছিলাম প্রায় ৯ মাস। তখন তো বিয়ের কথা মুখে আনা প্রায় অসম্ভবই। এরপর মোটামাটি আয়-রোজগারের একটা ব্যবস্থা হলো (মাসে ১৮ হাজার টাকার মত)। এর কিছুদিন পর বাসায় আবার বললাম বিয়ে করার কথা। আব্বা বললেন - এই টাকায় ফ্যামিলি চালাতে পারবি? ঢাকা শহরে তো বাড়িভাড়াই হবেনা এই টাকায়। আমি কিন্তু ১ টাকাও দিতে পারব না। You have to be at your own! ভেবে দেখ।
সাত-পাঁচ ভেবে পিছিয়ে আসলাম। ঠিকই তো! এই টাকায় চলব কিভাবে? এভাবে আরও কিছুদিন গেল। আবার বললাম। আবার একই উত্তর। আবার পিছালাম। এভাবেই চললো কিছুদিন।
শেষমেস ঠিক করলাম। দরকার হলে রিস্কই নিব। আমার পরিচিত অনেকে তো মাসে ৮ হাজার টাকা স্যালারি পেয়েও ২-৩ জন ছেলেমেয়ে নিয়ে সুন্দর সংসার চালাচ্ছে, তাঁরা পারলে আমি পারবনা কেন? লাইফ-স্ট্যান্ডার্ড নিচে নামিয়ে আনতে হবে? আনব। দরকার হলে বস্তিতে থাকব।
এরপর বিয়েটা করেই ফেললাম (জুন, ২০১৩)। আমার ২ ফ্রেন্ডের কাছে ২০ হাজার ও ৩০ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা ধার করলাম। হবু বউকে আগেই জানিয়ে দিলাম আমি গরিব মানুষ। পুঁজি বলতে আমার এই ৫০ হাজার টাকাই। এর বেশি মোহরানা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না, আর পুরোটাই নগদ দিতে চাই। সে রাজি হলো।
কিভাবে জানি আরও ১০ হাজার টাকা ম্যানেজ হলো। বিয়ের দিন কি কি সব খরচে দেখি ২ হাজার টাকা শর্ট! দৌড়ায়ে গেলাম ছোট ভাইয়ের কাছে। বিভিন্ন সময়ে সে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া ১০০, ২০০ টাকা মিলিয়ে যে ২-৩ হাজার টাকা জমিয়েছিল তা থেকে ২ হাজার টাকা ধার দিল।বিয়ে হয়ে গেল।
বিয়ের পরদিন বউয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে পাওনাদারদের ধার শোধ করলাম ধীরে ধীরে। বিয়ের আগেই একটা বাসা ভাড়া নিয়ে রেখেছিলাম । ভাড়া ৭ হাজার টাকা প্রতি মাসে। বিয়ের ৩-৪ দিন পরই ঢাকায় চলে আসলাম নতুন বাসায়। ফার্নিচার বলতে মেসে থাকার জন্য কেনা ১ হাজার টাকা দামের একটা চৌকি আর ৫০০ টাকা দামের একটা টেবিল আর মেসে মিশুকের ফেলে রেখে যাওয়া একটা প্লাস্টিকের চেয়ার।
সংসার চালানোর জন্য যত খরচ হবে ভেবেছিলাম, দেখলাম বাস্তবে খরচ তার তুলনায় কমই। খরচ বেড়েছে বলতে বাসা ভাড়া ৪ হাজার টাকা (আগে ৩ হাজার লাগত আর তখন ৭ হাজার), খাওয়ার খরচ প্রায় অপরিবর্তিতই আছে (আগে ১০০০ টাকা বুয়া বিল লাগতো সেটা কমে গেছে)। তবে আগে যেমন হাতখুলে খরচ করতাম, তখন সেটা মোটামুটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে হলো। পার্থক্য এটুকুই। সেই খরচেই সুন্দর চলে যেতে লাগলো।
কয়েকমাস পর বউ বললো একটা ফ্রিজ কেনা দরকার। টাকা জমাতে হবে। কয়েকমাস টাকা জমিয়ে ২০ হাজার টাকার মত হলো। ফ্রিজের দোকানে গেলাম। বউ পছন্দ করলো প্রায় ৩০ হাজার টাকা দামের একটা ফ্রিজ। আমি আনইজি ফিল করা শুরু করলাম। আমার কাছে তো এত টাকা নাই। সব মিলিয়ে বাইশ হাজার টাকা হতে পারে। বউ দেখি হাঁসে। এই কয়দিনে বউও প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো জমিয়ে ফেলেছে সংসারের খরচ সেভ করে।
এখনো মাঝে মাঝে অবাক লাগে। আগে টাকার ভয়ে বিয়ে করতে পারিনি আমি। বিয়ের আগে প্রায় এক-দেড় বছর যে আয় ছিল, বিয়ের প্রায় বছরখানেক পর পর্যন্তও আয় ছিল একই। বিয়ের আগের প্রায় এক বছরে সেভিংস ছিল শূন্য টাকা। বিয়ের পরের এক বছরেও সেভিংস শূন্য, কিন্তু ২ জনের একটা সংসার চালিয়েও ফ্রিজসহ আরও অনেক কিছু কেনা হয়ে গেছে!
বিয়ে করলে আসলেই আয়ে বরকত আসে। রিজিকের মালিক আল্লাহ- এটা নতুন করে অনুভব করেছিলাম তখন। যারা বিয়ে করবেন মনস্থির করেছেন, পাত্রীও ঠিক করা আছে কিন্তু টাকার ভয়ে বিয়ে করতে পারছেন না, সাহস করে বিয়েটা করেই ফেলুন। ইনশাল্লাহ, আয়ে বরকত আসবে। রিজিকের মালিক তো আল্লাহই। অপচয় না করলে আর অলস না হলে তো অভাব হবার কথা না।
ফুটনোটঃ বিয়ের জন্য যে দুই ফ্রেন্ডের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলাম, ধার শোধ করে তাঁদের বিয়ের সময়ও সেই একই পরিমান টাকা ধার দিতে পারার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। মাঝে মাঝে এই ৫০ হাজার টাকাকে খুব বরকতময় মনে হয়! কি সুন্দর এই হাত থেকে ঐ হাতে যাবার অছিলায় ৩ জনের বিয়ে সুন্দরভাবে হয়ে গেল!

public univesity students
An elephant and a dog became pregnant at same time. Three months down the line the dog gave birth to six puppies. Six months later the dog was pregnant again, and nine months on it gave birth to another dozen puppies. The pattern continued.
On the eighteenth month the dog approached the elephant questioning, _"Are you sure that you are pregnant? We became pregnant on the same date, I have given birth three times to a dozen puppies and they are now grown to become big dogs, yet you are still pregnant. Whats going on?"._
The elephant replied, _"There is something I want you to understand. What I am carrying is not a puppy but an elephant. I only give birth to one in two years. When my baby hits the ground, the earth feels it. When my baby crosses the road, human beings stop and watch in admiration, what I carry draws attention. So what I'm carrying is mighty and great."._
Don't lose faith when you see others receive answers to their prayers.
Don't be envious of others testimony. If you haven't received your own blessings, don't despair. Say to yourself "My time is coming, and when it hits the surface of the earth, people shall yield in admiration.

Monday, January 9, 2017

Here is a list of things you need to teach your Child(ren) at early age:
1: Warn your Girl Child Never to sit on anyone's laps no matter the situation including uncles.
2: Avoid Getting Dressed in front of your child once he/she is 2 years old. Learn to excuse them or yourself.
3. Never allow any adult refer to your child as 'my wife' or 'my husband'
4. Whenever your child goes out to play with friends make sure you look for a way to find out what kind of play they do, becaus...e young people now sexually abuse themselves.
5. Never force your child to visit any adult he or she is not comfortable with and also be observant if your child becomes too fond of a particular adult.
6. Once a very lively child suddenly becomes withdrawn you may need to patiently ask lots of questions from your child.
7. Carefully educate your grown ups about the right values of sex . If you don't, the society will teach them the wrong values.
8: It is always advisable you go through any new Material like cartoons you just bought for them before they start seeing it themselves.
9. Ensure you activate parental controls on your cable networks and advice your friends especially those your child(ren) visit(s) often.
10. Teach your 3 year olds how to wash their private parts properly and warn them never to allow anyone touch those areas and that
includes you (remember, charity begins from home and with you).
11: Blacklist some materials/associates you think could threaten the sanity of your child (this includes music, movies and even friends and families).
12. Let your child(ren) understand the value of standing out of the
crowd.
13: Once your child complains about a particular person, don't keep quiet about it.
Take up the case and show them you can defend them.
Remember, we are either parents or parents-to-be.
.
©Prof Dr. Atika begum
অ্যামেরিকান ডকুমেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একঃ ১৯৭১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সাথে বঙ্গবন্ধুর কী আলাপ হয়েছিল?
পূর্ব পাকিস্তানে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড ১৯৭১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালেই বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় দেখা করতে এসেছিলেন। সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী আন্তরিক পরিবেশে ফারল্যান্ডের সাথে বঙ্গবন্ধুর আলাপ হয়। ফারল্যান্ড সেদিনই ওয়াশিংটনে এই মিটিং এর বিস্তারিত জানিয়ে তারবার্তা পাঠান। কী ছিল সেই তারবার্তায়? আসুন ফারল্যান্ডের বয়ানেই শুনি সেই মিটিংয়ের খুঁটিনাটি। এটা সেক্রেটারি অব স্টেটকে পাঠানো রাষ্ট্রদূতের বার্তা:
১। ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ সকাল নয়টায় আমি শেখ মুজিবরের সাথে তার ঢাকার বাসভবনে দেখা করতে যাই। তিনি গাড়িতেই আমাকে রিসিভ করেন এবং তার বাসা পর্যন্ত আমাকে নিয়ে যান। এটা খুবই স্পষ্ট ছিল যে তিনি আমাকে দেখে খুশি হয়েছেন এবং আমাকে দারুণ আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানান।সামাজিক কুশলাদি বিনিময়ের পরে মূল আলাপ শুরু হল। সামাজিক কুশলাদির মধ্যে তার এই বক্তব্যও ছিল যে, “আমাদের এই মিটিংটা হচ্ছে পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে।” আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী অবস্থা মনে হচ্ছে আপনার?” এই কথা বলে তিনি সরাসরি মূল আলোচনায় প্রবেশ করলেন। আমি উনাকে বললাম, একজন কৌতুহলী দর্শক হিসেবে সব ঘরানার সংবাদপত্র থেকে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে যে সংবাদ দেখি তাতে আমি উদ্বিগ্ন। তবে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে আপনিই বরং বর্তমান অবস্থার পর্যালোচনা ভালোভাবে করতেপারবেন। আপনার কাছে থেকে সেটা শুনতে চাওয়াটাই বেশি সঙ্গত।
২। শেখ মুজিব বললেন, তাঁর মতে, বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা একমাত্র ভুট্টোর কুমন্ত্রণার কারণে হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন না। বরং ভুট্টো এমন একটা অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করছেন, যা তৈরি হয়েছে সেইসব মানুষদের দ্বারা যারা আইয়ুবকে সমর্থন করেছিল। তিনি বলেন, ভুট্টো সম্ভবত নিজের ইচ্ছায় চলছেন না। কারণ তার যথেষ্ট সংগঠিত কোনও রাজনৈতিক দল নেই। পশ্চিম পাকিস্তানি কিছু সামরিক অফিসারের সাহায্য এবং নেতৃত্ব ছাড়া ভুট্টো অচল। ঠিক এই কারণেই ভুট্টো সামরিক প্রস্তুতির জন্য মাত্রাতিরিক্ত খরচ করার পক্ষে।
৩। ভুট্টো অধিবেশনে যোগ দেবেন কি-না আমার এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, তিনি মনে করেন ভুট্টো অধিবেশনে যোগ দেবেন। কারণ আওয়ামী লীগ ভুট্টোকে তার ভাষায় “চেপে ধরেছে” বলে মনে করেন তিনি। যদিও তিনি বললেন, তিনি অনুমান করছেন ভুট্টো যাকে তিনি “হাদা গরু” বলে অভিহিত করেন, সেই ভুট্টো তার দলের লোকদের খোঁয়াড়ে ঢুকিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষেই নিয়ে যাবেন। সেই সময় থেকেই বাংলাদেশের জীবন সংগ্রাম শুরু হবে।
৪। আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করলা, পিপিপি এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানের দূরত্ব কতটুকু? তিনি বললেন, বিশাল দূরত্ব এবং এই দূরত্ব এতই বিশাল যে যে কোনও মতৈক্যে আসা রীতিমতো অসম্ভব। আরো বিশেষ করে বলতে গেলে আওয়ামী লীগ এবং সেই দলের নির্বাচিত নেতা হিসেবে তিনি ছয় দফা প্রশ্নে কোন আপোষ করবেন না এবং আপোষ করতে পারেন না। এই ছয় দফাকে তিনি প্রায় এক দশক ধরে নিজের জীবনের অংশ করে নিয়েছেন। তিনি বললেন, ভুট্টো চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী হতে এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে মনোনীত করার অধিকার পেতে। শেখ মুজিব বললেন, ভুট্টোর পররাষ্ট্র নীতি তার মতে যাচ্ছেতাই । ভুট্টোর কমিউনিস্ট চিনের প্রতি রয়েছে প্রবল অনুরাগ এবং ভারতের প্রসঙ্গে সে একরোখা। শেখ মুজিব এরপরে তার কমিউনিস্ট বিরোধী অবস্থানের কথা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাখ্যা করলেন এবং বললেন চিন এই অঞ্চলের জন্য কী বিপদ সৃষ্টি করছে। ভারত প্রশ্নে তিনি মনে করেন ভারতের সাথে বাংলাদেশের অবশ্যই ঐতিহাসিক ভালো সম্পর্ক পুনস্থাপন করা দরকার এবং আগের বাণিজ্য রুটগুলো চালু করা দরকার। তিনি এই মত দিলেন ভুট্টো যা চায় এবং বাংলাদেশের মানুষ যা দাবি করে এই দুই বিষয়ের পার্থক্য অনতিক্রম্য।
৫। এরপরে তিনি পাকা ১০ মিনিটের একটা ভাষণ দিলেন, যা তার রাজনৈতিক বক্তৃতার অংশ হতে পারতো। তিনি বললেন, “তার দেশের” জনগণ তার পিছনে আছে, তিনি অল্প কিছু ছোট ছোট হার্ডকোর কমিউনিস্টদের দৌড়ের উপর রেখেছেন। ভাসানীর ছত্রভঙ্গ অবস্থা দেখে তা বুঝা যাচ্ছে। তিনি বললেন, কমিউনিস্টরা তার দলের তিনজন নেতাকে খুন করেছে। তিনিও পাল্টা প্রতিজ্ঞা করেছেন, প্রত্যেক নিহত আওয়ামী লীগ নেতার জন্য কমিউনিস্টদের তিনজনকে খুন করবেন এবং “এইটাই আমরা করেছি”। পশ্চিম পাকিস্তানি নেতৃত্বের হাতে তিনি যে কয়দিন জেলে কাটিয়েছেন সেটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি ঐক্য রক্ষা করা নাই যায় তবে “বুলেটের মুখে দাঁড়াতে” তার কোনও ভয় থাকবে না। তিনি নাটকীয়ভাবে বলে উঠলেন, তিনি জেলের ভয়ে ভীত নন, এমনকি তাকে “টুকরো টুকরো করে ফেললেও” জনগণের দেয়া ম্যান্ডেট থেকে তিনি বিচ্যুত হবেন না। তিনি স্বগোতোক্তির মত বলতে থাকলেন, তিনি বিচ্ছিন্ন হতে চাননি, বরং তিনি চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের সাথে এমন একটি কনফেডারেশন, যেখানে বাংলাদেশের জনগণ বৈদেশিক সাহায্যের মাত্র ২০% নয় বরং একটা ন্যায্য হিস্যা পাবে। যেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ৬০% আসে সে অংশকে কীভাবে ইসলামাবাদ ভিখিরির মতো এই সামান্য ভাগ ছুঁড়ে দেয়?
৬। বৈদেশিক সাহায্যের প্রশ্নে শেখ সাহেব বললেন, পাকিস্তান এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর ভয়াবহ সংকটে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কার্যত শূণ্য। এইটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য শাপেবর হয়েছে। কারণ তার দলকে বশে আনার জন্য আর্থিক সঙ্গতি পশ্চিম পাকিস্তানের নাই। তিনি আরো বললেন, “পশ্চিম পাকিস্তান জাপানের কাছে একটা বড় ধরনের সাহায্য চাচ্ছে, সেটা যদি তারা পেয়ে যায় তবে তারা আমাদের অবস্থা খারাপ করে দিবে।” সেই মুহূর্তে তিনি স্পষ্টতই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,আমেরিকা এবং কনসোর্টিয়াম কি বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সাহায্য করবে? আমি তাকে বললাম, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি নিশ্চয় জানেন আমেরিকা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আগ্রহী। তবে আমাদের এবং কনসোর্টিয়ামের আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে দুইটা সীমাবদ্ধতা আছে
১/ আর্থিক সাহায্যের জন্য যেই ফান্ড এখন আছে তা আগের তুলনায় সীমিত।
২/ আর্থিক সাহায্যের প্রজেক্টগুলো সতর্কতার সাথে তৈরি করা হয় এবং মনিটর করা হয়। বিশেষ জোর দেয়া হয় সাহায্যগ্রহীতা দেশের জনশক্তির ও সরকারি কর্মকর্তাদের ফান্ডের ব্যবহারের বিষয়ে দক্ষতা জ্ঞান এবং প্রকল্পের প্রশাসনিক দিক সামলানোর ক্ষমতার উপরে।
আমি বর্তমানে পূর্ব পাকিস্তানে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য ফান্ডের অপ্রতুল ব্যবহার এবং দক্ষ জনশক্তির অভাবের বিষয়ে আমার উদ্বেগের কথা তাঁকে জানালাম।
৭। এরপরে শেখ মুজিব দীর্ঘ সময় নিয়ে জানালেন কেন পূর্ব পাকিস্তান একটা টেকসই অঞ্চল হিসেবে দাঁড়াতে পারে। তিনি গ্যাসের বিশাল রিজার্ভের কথা জানালেন, যা শুধু একটা পেট্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য স্থানীয় ভাবেই ব্যবহার করা যাবে তাই নয় বরং ভারতেও রপ্তানি করা যাবে। তিনি বললেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুই বছরের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। বোরো ধান চাষাবাদ হবে তাঁর প্রধান আগ্রহের বিষয়। আমি যখন পূর্ব পাকিস্তানের অবিশ্বাস্য জন্মহারের কথা মনে করিয়ে দিলাম, তখন তিনি বললেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ তার প্রধান লক্ষ্য হবে। আজকে যেভাবে পরিবার ছোট করার জন্য চাপ দিতে হচ্ছে, সেটা না করেই তিনি মানুষকে পরিবার ছোট রাখার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।
৮। খুব সিরিয়াস মুডে শেখ মুজিব বললেন, যদিও তিনি বলতে চাচ্ছিলেন না, তবুও তার বলা উচিত যে আমেরিকার একটা বদনাম আছে যে সে মতের অমিল হলেই তার বন্ধুকে ত্যাগ করে। তিনি মনে করেন, এই অঞ্চল নিয়ে মতের অমিল হবেই, তখন আমেরিকা সত্যিকারের পরীক্ষায় পড়বে। আমি শেখ মুজিবকে বললাম যে আমি মনে করি তার বক্তব্যটা খুবই যুক্তিযুক্ত, তবে আমেরিকার তার বন্ধুদের সাহায্যের জন্য কোন ভূমিকা নেয় সে বিষয়ে আরেকদিন আলাপ করবো। আমি আরো যুক্ত করলাম আমরা এই বিশ্বাস থেকেই পাকিস্তানকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি দিয়ে সাহায্য করেছি। শেখ সাহেবের চতুর উত্তর ছিল, আমাকে যদি আমেরিকা এক বিলিয়ন ডলার দিত, আমি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আর গণতন্ত্রের শক্ত দেয়াল তৈরি করতাম।
৯। এই সব আলাপের পিছনে শেখ সাহেব যা প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন তা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রতি অ্যামেরিকান নীতি কী? সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে আমি অ্যামেরিকান নীতি যা স্টেট ৩৫৫৩৪ এ উদ্ধৃত আছে তা ব্যাখ্যা করলাম। এবং আমি এমনভাবে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা তুললাম না যেন কোনও অবস্থাতেই মনে না হয় যে বাঙালিদের আশা আকাঙ্ক্ষার পক্ষে অ্যামেরিকান অবস্থান পরিবর্তণীয় নয়। আমি যদিও এটা বলতে ভুললাম না যে, বৈদেশিক সাহায্য প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ ভাণ্ডার নয়, যা থেকে অসীম আর্থিক সাহায্য পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধানের জন্য বেরিয়ে আসবে। এরপরে শেখ সাহেব প্রশ্নের আকারে না বলে বললেন, বাংলাদেশের সকল বন্ধুদের উচিত তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের নিরস্ত করার, যারা অস্ত্রের শক্তি ব্যবহার করে আমার “দেশের জনগণকে উপনিবেশিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখতে চায়”। তিনি বললেন, তিনি দীর্ঘসময় ধরে বিশ্ব রাজনীতির ছাত্র হিসেবে এটা জানেন যে আমেরিকা এবং অন্যান্য সাহায্যদাতা দেশগুলোর পশ্চিম পাকিস্তানকে এই ধরনের চাপ দেয়ার ক্ষমতা আছে, যদি তারা সেটা চায়। যেহেতু কোনও প্রশ্ন করা হয়নি তাই তার উত্তর দেয়া থেকে আমি বিরত থাকলাম। তবে এই কথার একটা উত্তর দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে, আমরা যা প্রত্যাশা করি তার আগেই। তাই এ নিয়ে সিরিয়াসভাবে ভাবা দরকার। আমি ধারণা করেছিলাম শেখ সাহেব স্বীকৃতির প্রসঙ্গটা তুলবেন, যেহেতু তিনি এই বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছিল যা আমি রিপোর্টে উল্লেখ করেছি, কিন্তু তিনি তা করেননি।
আমি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার সাথে আবার কথা বলবো এই আশাবাদ ব্যক্ত করলাম। যেহেতু এখন পর্যন্ত অনেক বিষয়ই অপরিষ্কার আছে, যা সামনের সময়গুলোতে পরিষ্কার হবে। তিনি বললেন, তিনি আজকের মিটিংটার জন্য আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করেছিলেন এবং যেকোন সময়ে পরবর্তী মিটিং-এ বসতে পারলে খুশি হবেন। এছাড়াও তিনি শুধু আমার সাথে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথাই নিশ্চিত করলেন না, তিনি বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনগণের বন্ধুত্বের কথাও নিশ্চিত করলেন। এই আলোচনাটা এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে চলে এবং শেখ মুজিব আমাকে তার অনুরক্ত সমর্থকদের মধ্যে দিয়ে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
সূত্রঃ Source: National Archives, RG 59, Central Files 1970–73, POL PAK–US. Confidential; Priority; Limdis. Repeated to Islamabad, Karachi, and Lahore.

We have to think about us as well as our distic.though our's is torist capital ,our's is not a devloped town.so we have to do some think difrence.we have to create more and more business .

কক্সবাজার জেলাবাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এবং কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যেটি বিশ্বরেকর্ড করেছে ২০০২ সালে বিশ্বের সব দেশের নাগরিক গণ এই কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকে।
ভৌগোলিক সীমানা
কক্সবাজারের মোট আয়তন ২৪৯১.৮৬ কি.মি। এ জেলা উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বান্দরবন জেলা, মায়ানমারেরআরাকান এবং নাফ নদী ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর দ্বারা পরিবেষ্ঠিত। উপকুলবর্তি এলাকা হওয়ার এ জেলা প্রায়ই সামুদ্রিক ঝড়, জলচ্ছাস, হারিকেন,সাইক্লোন ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হয়।
প্রধান দ্বীপঃ মহেশখালি, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহ পরি, সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপ (নারিকেল জিঞ্জিরা), মাতাবাড়ি।
প্রধান বনঃ ফুলছড়ি রেঞ্জ, ভুমারিয়া-ঘোনা রেঞ্জ, মেহের-ঘোনা রেঞ্জ, বাক খালি রেঞ্জ।
কক্সবাজারের সমূদ্র সৈকতে সূর্যাস্ত
কক্স-বাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম (১১১ কি.মি দীর্ঘ) সমুদ্র সৈকত রয়েছে।
নদনদী
প্রধান নদীঃ মাতামুহুরি, বাকখালি, ঈদগাঁও নদী, রেজু খাল, নাফ, মহেশখালি প্রণালী ও কুতুবদিয়া প্রণালী।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
১৮৫৪ সালে বৃটিশ সরকারের মহকুমা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে কক্সবাজারকে মহকুমায় পরিণত করা হয়। ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৮৬৯ সালে কক্সবাজার মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয় এবং ১৯৭২ সালে কক্সবাজার পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার জেলার উপজেলা গুলো হলঃ
উখিয়া উপজেলা
কক্সবাজার সদর উপজেলা
কুতুবদিয়া উপজেলা
চকোরিয়া উপজেলা
টেকনাফ উপজেলা
মহেশখালী উপজেলা
রামু উপজেলা
পেকুয়া উপজেলা
পর্যটন
কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে ৬ টি বড় হোটেল, ৮০ টি অন্যান্য হোটেল আছে। এখানে একটি ঝিনুক মার্কেট ও একটি বার্মিজ মার্কেট আছে যেখানে মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীনের সামগ্রি পাওয়া যায়।
ইতিহাস
আরব ব্যবসায়ী ও ধর্ম প্রচারকগন ৮ম শতকে চট্টগ্রাম ও আকিব বন্দরে আগমন করেন। এই দুই বন্দরের মধ্যবর্তি হওয়ায় কক্সবাজার এলাকা আরবদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে। নবম শতাব্দীতে কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম হরিকেলার রাজা কান্তিদেব দ্বারা শাসিত হত। ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজা সুলাত ইঙ্গ চন্দ্র চট্টগ্রাম দখল করে নেবার পর থেকে কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অংশ। ১৬৬৬ সালে মুঘলরা চট্টগ্রাম দখল করে নেয়। মুঘল সেনাপতি বুজুর্গ ওমেদ খানকর্ণফুলির দক্ষিণের মাঘ কেল্লা দখল করে নেন এবং আরাকানবাসী রামু কেল্লাতে আশ্রয় নেয়, যা কিনা পরে মুঘলরা হঠাৎ আক্রমণ করে দখল করে নেয়। কক্সবাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চাষীদের মাঝে জমি বিতরণের এক উদারনীতি পদক্ষেপ নেয়। এর ফলে চট্টগ্রাম ও আরাকানের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ এই এলাকায় আসতে থাকে। বার্মা রাজ বোধাপায়া (১৭৮২-১৮১৯) ১৭৮৪ সালে আরাকান দখল করে নেন। প্রায় ১৩ হাজার আরাকানি বার্মারাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য ১৭৯৯ সালে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে যায়। এদের পুনর্বাসন করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একজন হিরাম কক্সকে নিয়োগ দেয়। প্রতি পরিবারকে ২.৪ একর জমি এবং ছয় মাসের খাদ্যসামগ্রি প্রদান করা হয়েছিল। এ সময় ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। যা কক্স সাহেবের বাজার পরিচিত হয় স্থানীয়দের মাঝে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তার অবদানের জন্য কক্স-বাজার নামক একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কক্স-বাজার থেকেই কক্সবাজার জেলার নামের উৎপত্তি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবার পূর্বেই ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হিরাম কক্স ১৭৯৯ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
অর্থনীতি
প্রধান পেশাঃ কৃষি, মৎসজীবি, কৃষি শ্রমিক, মজুর, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য।
প্রধান শস্যঃ ধান, আলু, ডাল, পিঁয়াজ, হলুদ, আঁদা, গম, আঁখ, তামাক, রাবার, সবজী, পান, সুপারি।
প্রধান ফলঃ আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, নারিকেল, লিচু, পেয়ারা, তাল।
কারখানা ও প্রতিষ্ঠান: চালের কল ৪৭৩ টি, লবনের কল ৩৮ টি, বরফের কল ৬৪ টি, ময়দার কল ১৪৫ টি, মৎসপ্রক্রিয়াজাতকরন (শুঁটকি) শিল্প ৩১ টি, মৎস-খাদ্য কল ১ টি, স' মিল, ছাপাখানা ১৮ টি।
খনিজ পদার্থঃ প্রাকৃতিক গ্যাস, জিরকন, লিমেনাইট, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, মোনাজাইট, কোরালিন, লাইমস্টোন।
রপ্তানি পন্যঃ পান, সুপারি, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আনারস, চীনাবাদাম, কাঠ, চিংড়ি, শুঁটকি, লবন, তামাক, মাছ, নারিকেল, রাবার।
হিমছড়ি, আদিনাথ মন্দির (মহেশখালী উপজেলা), শাহ ওমরের সমাধি (চকোরিয়া উপজেলা), মানিকপুরেরে ফজল কুকের সাতগম্বুজ মসজিদ, হাসের দীঘি, বীর কামলা দীঘি (কুতুবদিয়া উপজেলা), মাথিন কূপ (টেকনাফ উপজেলা), কালারমা মসজিদ, কুতুব আউলিয়ার সমাধি, রামকট হিন্দু মন্দির, রামকোট বুদ্ধ খেয়াং, লামাপাড়া বুদ্ধ খেয়াং (উখিয়া উপজেলা)), পাটাবাড়ি বুদ্ধ খেয়াং, কুতুপালাং বুদ্ধ মন্দির, আগভামেধা বুদ্ধ খেয়াং, বুদ্ধের প্যাগোডা, এক গম্বুজ মসজিদ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিক স্বরুপ এ জেলায় ৩ টি শহিদ মিনার ও ১ টি গনহত্যার কেন্দ্র আছে।
কৃতি ব্যক্তিত্ব
অজিত কুমার রায় বাহাদুর, জমিদার
মরহুম হযরত নুরুল হক শাহ (রঃ) ডুলা ফকির, ইসলামী ব্যক্তিত্ব
মরহুম হযরত আলাউদ্দিন শাহ (রঃ), ইসলামী ব্যক্তিত্ব
মুহাম্মদ আবদুর রশিদ সিদ্দিকী, বাঙালি সাহিত্যিক, গবেষক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ।।
এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ প্রথম জিপি কক্সবাজার আইনজীবী সমিতি
স্বাস্থ্য কেন্দ্র
১ টি হাসপাতাল, ৭ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১ টি মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, যক্ষা ক্লিনিক, ৩৫ টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ৫ টি বেসরকারি হাসপাতাল। এছাড়া চৌধুরী জোসেনের পরিচালনায় বিডি এইড নামে একটি এনজিও কার্যক্রম শুরু করছে
কক্সবাজার
CLICK HERE




TOURIST ZONE

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Powered by Blogger.
Outdoor
Fashion
Life-Style

Flickr

Twitter Feeds

Sponsor

Recent comments

Beauty

FACEBOOK

Comments

Flickr